সাধারনত যারা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে নতুন তাদের জন্য আজকের এই আলোচনা। কারণ যারা প্রথম প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ইনভেস্ট করেন তারা কোন কয়েন ক্রয় করবেন বা কোন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ইনভেস্ট করবেন তা নিয়ে একটু সমস্যাই পড়েন। অর্থাৎ সঠিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বাছায় করতে ভুল করেন। আবার অনেকেই ভুল করে এমন সব ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করেই বসেন, যা পরে পস্তানোর কারন হয়ে দাড়ায়।

কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাছায় করবেন?

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ইনভেস্ট করার জন্য ক্রিপ্টো কয়েন বাছায় করতে জানা খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এমন এমন কিছু কয়েন আছে যাদের প্রাথমিক বা দুই একবারের পারফর্মেন্স দেখে ক্রয় করতে ইচ্ছা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সব ইনভেস্টের পয়সা গুলো একরম পানিতে ফেলে দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু মনে হবে না।

তাই ক্রিপ্টোকারেন্সি বাছায় করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। তাড়াহুড়া নই, আপনার অল্প বিচক্ষনতাই আপনাকে ভাল মানের ক্রিপ্টো বাছায় করতে সহায়ক।

তো চলুন আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে আপনাদের সাথে এই বিষয়ে কিছু শেয়ার করি।

যে বিষয় গুলো ক্রিপ্টোকারেন্সি বাছায় করার সময় বিবেচনা করবেন

আপনি যদি ICO বা IEO করেন সেই বিষয় ভিন্ন। এর জন্য আপনি ICO নাকি IEO টপিকটি দেখতে পারেন। আমি এখানে সেই সব ক্রিপ্টোকারেন্সি বাছায় করার বিষয় গুলো আলোচনা করবো যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন এক্সচেন্জ সাইটে ট্রেড করা হচ্ছে।

একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি বাছায় করতে গিয়ে যে বিষয় গুলো দেখবেন:-

১। কনস্পেট্‌

২। স্ট্যাবিলিটি

৩। রোডম্যাপ অনুযায়ী তাদের অগ্রগতী

৪। প্রাইস অনুযায়ী সারকুলেটিং স্পালাই এবং টোটাল স্পালাই (অপশোনাল)

৫। জনপ্রিয়তা

১। কনস্পেট্‌

যেকোন ক্রিপ্টো কয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি বাছায় করার পূর্বে আপনাকে সেই প্রোজেক্টের মূল কনস্পেট্‌ দেখা অত্যাবশ্যক। আপনি এমন হাজার হাজার ক্রিপ্টো কয়েন দেখতে পাবেন, যাদের প্রাইস আপনাকে আকর্ষিত করে থাকবে। কিন্তু তাদের কনস্পেট্‌ খারাপ হাবার কারণে এই সব কয়েন খুব একটা লম্বা সময় টিকে থাকতে পারে না। উদাহরন সরূপ: Voice, Red Pulse, Verge সহকারে এই রকম শত শত কয়েনের উদাহরন দেওয়া যায়।

২। স্ট্যাবিলিটি

এইটা খুব সহজ জরুরী বিষয় যেকোন ক্রিপ্টো কয়েনে ইনভেষ্ট করার পূর্বে। আপনি এমন কোন কয়েনে ইনেভেস্ট করলেন যা একবার থেকে দুইবার তার পুরা লাইফে ভাল করেছিলো। তাহলে কিন্তু আপনার ইনভেস্ট কৃত টাকা নষ্ট হবার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আপনাকে কোন কয়েন বাছায়ের পূর্বে সেই কয়েনের স্ট্যাবিলিটি বা ওয়েট দেখে নিতে হবে। যাতে কোন কারনে প্রাইস ফল করলেও আবার উঠের আসার জোরালো সম্ভাবনা থেকে থাকে।

৩। রোডম্যাপ অনুযায়ী তাদের অগ্রগতী

প্রতিটি ক্রিপ্টোকারেন্সির রোডম্যাপ বা হোয়াইটপেপার থেকে থাকে। যেখানে তারা তাদের প্রোজেক্টকে কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে বা কোন সময়ের মধ্যে তাদের টার্গেট পুরোন করার চেষ্টা করবে তা উল্লেক্ষ থেকে থাকে। আপনি এমন সব স্ক্যাম প্রোজেক্ট দেখবেন যারা তাদের রোডম্যাপে এমন এমন কনস্পেট তুলে ধরবে যার সাথে তাদের কাজের কোন মিল থাকে না। অর্থাৎ একরকম লোক দেখানো রোড ম্যাপ।

আবার কোন কোন প্রোজেক্টের রোড ম্যাপই পাবেন না। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে হয়তো বলবে আমাদের রোড ম্যাপ আছে কিন্তু পাবলিশ করে না। যুক্তি হিসেবে অনেক কারণ দেখাবে। সেই ধরনের প্রোজেক্টকে চোখ বন্ধ করে দুরে সরাই দিবেন। যাই হোক, টার্গেট বিহীন কোন প্রোজেক্ট থেকে দূরে থাকবেন।

৪। প্রাইস অনুযায়ী সারকুলেটিং স্পালাই এবং টোটাল স্পালাই (অপশোনাল)

কিছু কিছু প্রোজেক্ট তাদের জনপ্রিয়তা বা যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাইস হুট করেই লাফ দিয়ে উঠে আবার পড়ে যায়। আবার লাফ দিয়ে উঠে আবার পড়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে সেই ধরনের প্রোজেক্ট বাছায় করতে সাবধানতা অবলম্বন করবেন। কারন সেই সব প্রোজেক্টকে বিভিন্ন গ্রুপ পাম্প করে থাকে। জি হ্যাঁ প্রাইস পাম্প করার জন্য বেশ কিছু গ্রুপ আছে।

যাইহোক, এমন অনেক প্রোজেক্ট দেখবেন যাদের সারকুলেটিং স্পালাই এর সাথে প্রাইস দেখলে অনেকটাই সন্দেহের মুখে ফেলে দেয়। তবে ভালো কোন প্রোজেক্টের ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেকটাই অপশোনাল পর্যায়ে চলে যায়।

৫। জনপ্রিয়তা

ভাল প্রোজেক্ট হলে তার জনপ্রিয়তা আপনাকে খুব সহজেই আকৃষ্ট করতে পারে। আর আকৃষ্ট হবার-ই কথা। কারণ হেবি ওয়েট প্রোজেক্ট গুলোর কনস্পেট আর তাদের দক্ষতাই তার জন্য যথেষ্ট।

এইখানে অনেকেই ভাবতে পারেন ভাল প্রোজেক্ট বাছায়ের ক্ষেত্রে সেই প্রোজেক্টের পেছনে কারা আছে তা জানাও প্রয়োজন। আমিও সেই ভাবনার সাথে একমত। তবে যেহেতু আমি এখানে সেই সব প্রোজেক্ট বাছায়ের কথা বলছি, যা অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন এক্সচেন্জে ট্রেড করা হচ্ছে।

আমি যদি এখানে ICO বা IEO করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতাম, তবে প্রোজেক্টের পেছনে কারা কারা আছে সেই পয়েন্টকেই সবার আগে রাখতাম।

যাইহোক, আপনি চাইলে যে কোন প্রোজেক্ট বাছাই করার পূর্বে, সেই প্রোজেক্টের টিমদের দেখে নিতে পারেন। এতে আপনার যেকোন ক্রিপ্টোকারেন্সি বাছায় করার জন্য আরো ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রেড করার জন্য একাউন্ট নেই? আজই খুলে নিন একটি টপরেটেড এক্সচেন্জ সাইটে আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সির ট্রেডিং একাউন্ট।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং একাউন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

সতর্কতাঃ- ফরেক্স ও ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট অধিক ভলটালিটির কারনে ট্রেডিং করা অনেক বেশি বিপদজনক। তাই এই পোষ্টে কাউকে এই মার্কেটে ট্রেড করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে না। যদি কেউ ট্রেড করতে চাই, তবে তা সে নিজের দায়িত্বে করবে, এর জন্য এই ব্লগের কর্তৃপক্ষ দায়বদ্ধ থাকবে না।


0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *