প্রথমেই বলে রাখি, আমি কোন SEO এক্সপার্ট নই। গুগোলের প্রথম পেজে আসার জন্য যে SEO টিপস্ গুলো এখানে আলোচনা করবো, তা আমার মনগড়া কোন কথা নই। বড় বড় SEO এক্সপার্টদের কাছ থেকেই আমি বিষয়গুলো জেনেছি। যার প্রতিটি বিষয়ই খুবই গুরোত্বপূর্ণ আপনার পেজের জন্য।
আপনার হয়তো এমন কোন পেজ বা পোষ্ট থাকতে পারে যা দীর্ঘদিন যাবৎ গুগোলের দ্বিতীয় পেজে দেখতে পান। আর হয়তো এই ভেবে বসে রয়েছেন যে, একটু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেই গুগোলের দ্বিতীয় পেজ থেকে প্রথম পেজে দেখা যাবে। কিন্তু তার আর কোন খবর নেই।
আমি যেসব SEO এক্সপার্টদের থেকে এর সমাধান দেখেছি তা এ্যপলাই করলে আশা করা যায় আপনি আপনার কাংক্ষিত রেজাল্ট খুব দ্রুতই দেখতে পাবেন। তবে চলুন জেনে নেই সেই বাঘা বাঘা SEO এক্সপার্টদের টিপস্ গুলো।
পেজ আপটেড করা
আপনার যে পেজ বা পোষ্টটি গুগোলের দ্বিতীয় পেজে অবস্থান করছে, সে পেজের আর্টিকেলটি আপডেট করার ফলে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যেতে পারে। গুগোল রোবট নিত্য নতুন আপটেড খুজে থাকে। আপনার পেজের মাঝে আপটেড হলে, গুগোল পুনারাই আপনার পেজের দিকে দৃষ্টিপাত করে থাকবে। গুগোলের দ্বিতীয় পেজে থাকা আপনার আর্টিকেলটির ভিতর নতুন করে ২৫০/৩০০ শব্দ যোগ করতে পারলে আপনার পেজটির জন্য দারুন কাজে দিতে পারে।
সাপর্টিং পেজ তৈরি করা
আপনার যে পেজটি গুগোলের দ্বিতীয় পেজে আটকে রয়েছে তার জন্য কয়েকটি সাপর্টিং পেজ তৈরি করতে পারেন। সাপর্টিং পেজ গুলেতে আপনার গুগলের দ্বিতীয় পেজে আটকে থাকা পেজকে লিংকিং করে দিবেন। এতে করে গুগোল কিছু বাড়তি লিংক পাবে আপনার সেই পেজের জন্য।
Outbound links যোগ করা
গুগোলের দ্বিতীয় পেজে আটকে থাকা আপনার পেজটি গুগোলের প্রথম পেজে আসার জন্য আপনার আর্টিকেলের সাথে সংগিতপূর্ন হাই কোয়ালিটি দুই-একটি Outbound links যোগ করার চষ্টা করুন। Outbound links যোগ করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক শব্দের সাথে অপ্রাসঙ্গিক লিংক যোগ করা থেকে বিরত থাকুন। বরং এই রকম কোন লিংক থাকলে তা রিমুভ করে দিন। আপনার ওয়েব সাইটের বাইরের লিংককে Outbound links লিংক বলা হয়।
হেডিং -এর ব্যবহার
আর্টিকেলে আপনি অবশ্যই হেডিং ব্যবহার করবেন। আবার যাইতাই বসিয়ে দিয়েন না। হেডিংটা এমন হওয়া চাই যাতে হেডিং-এই প্রকাশ পাই আপনি কি বলতে যাচ্ছেন। বলা যায় হেডিং দ্বারাই যেন আপনার লিখার ভাব ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রকাশ পেয়ে যায়।
আবার হেডিং ব্যবহার এর জন্য ট্যগ এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি বার বারই h1, বা h2 ব্যবহার করে যাবেন তা নই। আপনি এর একটি সমন্বয় করতে পারেন। একবার h1 ব্যবহার করলে তা আর না ব্যবহার করে h2 এর পর h3 এইভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে সুন্দর্য্যও বৃদ্ধ পাবে এবং আপনার পেজের জন্যও উপকার হবে।
অফপেজ SEO করা
গুগোলের প্রথম পেজে আসার জন্য অফপেজ SEO করা থেকে বিরত থাকা কোন যুক্তিক কাজ নই। অফপেজ SEO অর্থ আপনার ওয়েবসাইটের বাইরে অন্য কোন সাইট চাই সে ব্লগ হোক বা ফোরাম হোক আর বা অন্য কোন কিছুর সাইট হোক, সেই সব সাইটে আপনার সেই পেজের লিংক দেওয়া। তবে এই কাজ করতে গিয়ে স্প্যাম করে বসেন না। আবার এমন কোন জায়গায় আপনার সেই পেজের লিংক দিবেন না যেখানে দেওয়া অপ্রাসঙ্গিক।
যেমন ধরেন আপনার সাইটটি বাংলা এখন যদি কোন ইংরেজি সাইটে গিয়ে আপনার সেই পেজের লিংক দেন তবে বিষয়টি কেমন দাড়াল? নিশ্চয় যোক্তিক কোন কাজ নই। আপনি সেই সব জাইগায় লিংক ব্লিডিং এর জন্য লিংক দিতে পারেন যেখানে আপনার গুগোলের দ্বিতীয় পেজে আটকে থাকা পেজের আর্টিকেলটির সাথে সংগতি পূর্ণ
সোসাল সাইটগুলোতে আপনার পেজের লিংকটি শেয়ার করতে পারেন। বর্তমানে সোসাল সাইট গুলো খুব স্ট্রং একটি ওয়ে আপনার পেজের লিংক গুলো গুগোলে দ্রুত ইনডেক্স হবার জন্য। মিডিয়াম, পিনটারেষ্ট, টুইটার বা ফেসবুক সহ অনেক সোসাল সাইট আছে যেখানে আপনার সাইটের জন্য পেজ বা একাউন্ট খুলে সেখানে আপনার পেজের বা পোষ্টের লিংক গুলো অনায়াসে শেয়ার করতে পারেন।
মেটা ডেসক্রিপশন
আমরা গুগোলে সার্চ করলে দেখে থাকবো যে, প্রথমে টাইটেল তারপর লিংক এরপর ডেসক্রিপশন। গুগোল সার্চের একটি বিশেষ অংশ এই ডেসক্রিপশন। আপনি যতটা সুন্দর করে পারেন ডেসক্রিপশন বসাবেন। তবে মনের মাধুরে মিশিয়ে শুধু লিখতে থাকলে হবে না। আপনার ডেসক্রিপশন ১৫০ অক্ষরের মধ্যেই রাখার চেষ্টা করুন।
আর আপনি যে কিওয়ার্ড টার্গেট করেছেন তা যেন আপনার ডেসক্রিপশনে উল্লেক্ষ থাকে, সেই বিষয়টির দিকেও খেয়াল রাখবেন। আপনি সবই করলেন কিন্তু ফিনিশিং এ খান্তি রেখে দিলেন তা হলে কিন্তু ভাল ফলাফল পাবার আশা করা যায় না।
অনপেজ SEO
গুগোলের প্রথম পেজে আপনার আর্টিকেলটিকে ফোকাস করার জন্য, অনপেজ SEO একটি মূল বিষয়। অনপেজ SEO হচ্ছে আপনার পেজের ভিতরে বা আর্টিকেলটির ভিতরে লিংক, কিওয়ার্ড, ইমেজ, টেক্সট এই গুলোকে সার্চ রেজাল্টের জন্য উপযুক্ত করা।
অামরা যারা ব্লগিং করি তারা ছবি আপলোড, লিখালিখি ইত্যাদিতো করেই থাকি। কিন্তু শুধু এতটুকু করে খান্ত থাকলেই SEO এর জন্য রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব নই। আপনি কি লিখছেন, কিসের উপর ভিত্তি করে লিখছেন অর্থাৎ মুল কিওয়ার্ড বিষয়গুলোর দিকে নজরদারি রাখা। আর টাইটেল, মূল কিওয়ার্ড, ট্যাগ এই সবের মধ্যে একটি চেইন তৈরি করে দিবেন। ঠিক যেন বর্তমান সময়ের ব্লকচেইনের মত, একটির সাথে আরেকটি সুপারগুলোর মতো লেগে থাকে।
অনপেজ SEO ব্যতিরকে আপনার আর্টিকেলটিকে গুগোলের পেজ র্যঙ্কে আনা, এক রকম কাল্পনিক ধারনা। আবার অনপেজ SEO করতে গিয়ে অপটিমাইজেশন এর দিকে খেয়াল রাখবেন। অপটিমাইজেশন তো করবেনই কিন্তু ওভার অপটিমাইজেন যাতে না হয়ে যায় সেই দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
মোটামুটি উপরের বিষয়গুলোর দিকে নজর দিয়ে কাজ করলে আশা করা যায় ভাল একটি ফলাফল পাবেন।
0 Comments